

শনিবার ● ২৪ মে ২০২৫
প্রথম পাতা » ছবিঘর » সংকট উত্তরণে সরকারকে বিতর্কিত পদক্ষেপ থেকে সরে আসতে হবে
সংকট উত্তরণে সরকারকে বিতর্কিত পদক্ষেপ থেকে সরে আসতে হবে
২৩ মে-২০২৫ শুক্রবার সকালে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির দুই দিনব্যাপী সভায় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, সরকার প্রধানসহ অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগ বিদ্যমান সংকটের সমাধান নয়; বরং সেসব কারণে অন্তর্বর্তী সরকার বিতর্কিত হয়ে পড়েছে সরকার উচিৎ হবে সেসব ইস্যু থেকে বেরিয়ে আসা।তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার কারনেই ক্রমান্বয়ে সংকট ঘনীভূত হয়ে উঠছে। তিনি বলেন, বিদ্যমান সংকট উত্তরণে অন্তর্বর্তী সরকারকে তাদের দলনিরপেক্ষ বৈশিষ্ট নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, যেসব উপদেষ্টার কারনে সরকার বিতর্কিত হয়ে পড়েছে সরকারের উচিৎ হবে অনতিবিলম্বে তাদেরকে অব্যাহতি দেয়া।
তিনি বলেন, নানা বিতর্কিত বিষয়ে ঝুঁকে পড়ে সরকার অন্যায্যভাবে রাজনৈতিক দলসমূহকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে ফেলেছে।
তিনি রাজনৈতিক দলসমূহকে অপ্রয়োজনীয়ব্যাবে প্রতিপক্ষ না বানাতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।
তিনি বলেন, অপরাধের বিচার ও সংস্কারের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলসমূহের জনগনের কাছে অংগিকার রয়েছে। সরকারের কাজ হচ্ছে রাজনৈতিক দলসমূহের এই সহযোগিতাকে উপযুক্তভাবে কাজে লাগানো।
তিনি বলেন, রাখাইনে কথিত মানবিক করিডর নিয়ে সরকারের মধ্যকার পরষ্পর বিরোধী অবস্থানও সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার বক্তব্যও নতুন বিভ্রান্তির জন্ম দিয়েছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনা বিদেশী কোন কোম্পানিকে লীজ দেয়ার সিদ্ধান্ত হবে আত্মঘাতী ও অদূরদর্শী। দেশ ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ কোন সরকার আমাদের প্রধান সমুদ্র বন্দরকে বিদেশীদের হাতে তুলে দিতে পারেনা।তাছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের এতবড় জাতীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ারও কোন এক্তিয়ার নেই।
তিনি বলেন চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর আমাদের অর্থনীতির প্রধান লাইফলাইন। এই বন্দরের সাথে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের বিষয়ে যুক্ত রয়েছে। এই গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর বন্দর অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার কথা বলে কোনভাবেই আমরা বিদেশী কোম্পানির তত্বাবধানে দিয়ে দিতে পারিনা।শোনা যাচ্ছে, সরকার চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টারমিনাল আরব আমিরাতের ডিপি ওয়ার্লকে লীজ দেবার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার এই পদক্ষেপ পুরোপুরি অনাকাঙ্ক্ষিত ও জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী।
তিনি সরকারকে জাতীয় স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তায় ঝুঁকি সৃষ্টিকারী এই ধরনের সকল তৎপরতা থেকে সরে আসতে উদাত্ত আহ্বান জানান।
সেগুনবাগিচায় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় বক্তব্য রাখেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আনছার আলী দুলাল, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, শহীদুল আলম নান্নু, রাশিদা বেগম, শিকদার হারুন মাহমুদ, সাইফুর রেজা মামুন, নির্মল বড়ুয়া মিলন, মাহমুদুল হাসান পিপলু, শাহজাহান সিকদার, মাসুদূর রহমান মাসুদ, অরবিন্দু বেপারী বিন্দু, শেখ মোহাম্মদ শিমুল, মীর রেজাউল আলম জসিম রাঢি, ফিরোজ আলী, কেন্দ্রীয় সংগক জুঁই চাকমা,আবু লাহাব লাইসুদ্দিন, বাবর চৌধুরী, ফায়েজুর রহমান মনির, আইয়ুব আলী, মোহাম্মদ হানিফ প্রমুখ
সভায় দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।