শনিবার ● ২৯ এপ্রিল ২০২৩
প্রথম পাতা » ছবিঘর » ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে শ্রমিকশ্রণীর অবস্থান জোরদার করুন, অধিকার ও মুক্তির সংগ্রাম বেগবান করুন
ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে শ্রমিকশ্রণীর অবস্থান জোরদার করুন, অধিকার ও মুক্তির সংগ্রাম বেগবান করুন
বছর ঘুরে সারা দুনিয়ার শ্রমিকশ্রেণী আবার মহান মে দিবস উদযাপন করছে।মে দিবস শ্রমিকশ্রেণীর ঐক্য ও সংহতির দিন ; প্রতীকী অর্থে শ্রমিক মেহনতিদের বিজয়েরও দিন।১৮৮৬ সালে আমেরিকার শিকাগো শহরের হে মার্কেটে অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকশ্রেণীর রক্তে যে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছিল সেই রক্তবীজ নিয়ে সারাবিশ্বে কোটি কোটি শ্রমিক মেহনতি মানুষ আজ অধিকার ও মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় সোচ্চার।
১৮৮৬ এর মে দিবস পরবর্তী গত ১৩৬ বছরে ট্রেড ইউনিয়নের চেতনা অতিক্রম করে শ্রমিকশ্রেণী বিপ্লবী রাজনৈতিক চেতনায় সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, পৃথিবীর দেশে দেশে, বিভিন্ন প্রান্তে শ্রমিক জনতার বিপ্লব সংগঠিত করেছে; পুঁজিবাদী শোষণের নিগড় ভেঙ্গে বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে।মানবজাতির সামনে এক মানবিক সমাজ ও রাষ্ট্রের স্বপ্নকে বাস্তবে হাজির করেছে।
বিপ্লবের এই মহাযজ্ঞ নানা কারণে কোথাও কোথাও হোচট খেয়েছে, বিপর্যস্ত হয়েছে সত্য, কিন্তু সাম্যভিত্তিক সমাজ বিপ্লবের স্বপ্ন মরেনি, মরবেনা; কারণ বিশ্ব পুঁজিবাদ - সাম্রাজ্যবাদ - পুঁজিবাদী বিশ্বায়ন শ্রমিকশ্রেণীসহ ব্যাপক জনগণকে নির্মম শোষণ - বঞ্চনা ও অমানবিক শ্রমদাসত্ব থেকে মুক্তি দিতে পারেনি।একারণে দুনিয়ার প্রায় সকল দেশ- মহাদেশে অধিকার ও মুক্তির দাবিতে শ্রমিকশ্রেণী ও মেহনতি জনতার লড়াই নানা বৈশিষ্ট নিয়ে অব্যাহত রয়েছে ; নতুন করে দেশে দেশে সামাজিক বিপ্লবের স্বপ্নও রচিত হচ্ছে।
বাংলাদেশেও নানা বাঁধা ও প্রতিকুলতা মোকাবিলা করে শ্রমিকশ্রেণী ও মেহনতি মানুষ তাদের অধিকার ও মুক্তি অর্জনে আন্দোলন - সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে।এখানে শ্রমিক আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাবনা থাকলেও শ্রমিকদেরকে নানা দিক থেকে দূর্বল, বিভক্ত ও অধিকারহীন করে রাখার নানামুখী অপতৎপরতা অব্যাহত রাখা হয়েছে। সরকার , শাসকদের দলসমূহ ও মালিকেরা নানাভাবে শ্রমিকদের বিভক্ত করে রাখছে। সংগঠন ও আন্দোলনকে তারা নানাভাবে দমন করে আসছে।শ্রমিকদের ন্যায্য আন্দোলনকে তারা ষড়যন্ত্র হিসাবে প্রচার করে শ্রমিক আন্দোলনকে দমন ও নস্যাৎ করার যুক্তি হাজির করে।শ্রমিকদের আইনানুগ শান্তি পূর্ণ আন্দোলনে তারা পুলিশ ও সন্ত্রাসী লেলিয়ে দেয়।
ভোটের অধিকার না থাকায় শ্রমিকশ্রেণীসহ মেহনতি মানুষ সবচেয়ে বেশী ক্ষমতাহীন ও নিঃস্ব হয়েছে। তারা গরীব থেকে আরও গরীব হয়েছে।রাষ্ট্র - রাজনীতি - সমাজে তাদের গুরুত্ব ও মর্যাদা আরও কমেছে।সরকার এখন খোলাখুলিভাবে মালিকশ্রেণীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ক্ষমতায় থাকতে ভোটের দরকার না থাকায় শাসকদলের কাছে শ্রমিক, শ্রমজীবীদের রাজনৈতিক গুরুত্বও কমে গেছে।
অথচ বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনে শ্রমিক মেহনতিরাই সবচেয়ে বিপদগ্রস্ত ও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। সে কারণে চলমান ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে শ্রমিক মেহনতিদেরকেই সবচেয়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা গ্রহণ করা দরকার। এই লড়াই একদিকে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য আর অন্যদিকে নিজেদের জরুরী বাঁচার দাবি আদায়ের জন্য।
ই আন্দোলন এগিয়ে নিতে শ্রমিকশ্রেণীর সচেতন সংগঠন ও বৃহত্তর ঐক্য জরুরী। তার জন্য শাসক লুটেরা ধনীকশ্রেণীর মতাদর্শিক ও রাজনৈতিক প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসার নিরন্তর সংগ্রামটাও অতি আবশ্যক।
এবারকার মে দিবসে আমাদের শ্রমিকশ্রেণী ও মেহনতি জনতা এই শপথ গ্রহণ করবে এটাই প্রত্যাশা।
বহ্নিশিখা জামালী
১ মে-২০২৩




রাঙামাটিতে মহান বিজয় দিবসে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শ্রদ্ধাঞ্জলী
নানাভাবে বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের বিপরীত ধারায় ঠেলে দেবার চেষ্টা চলছে
ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ও গণভোটকে ঝুঁকিতে ফেলা যাবেনা
সিইসি-কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জুঁই চাকমা
নির্বাচনে কালো টাকা বন্ধ না হলে আগামী সংসদেও বিত্তবান আর রাজনৈতিক মাফিয়াদের আধিপত্য দেখা যাবে
রাঙামাটিতে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় র্যাব, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার বাহিনী মোতায়েন চায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
এবারের নির্বাচন নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে প্রতি ভোট কেন্দ্রে র্যাব, সেনাবাহিনী মোতায়েন করার দাবি
যুগপৎ আন্দোলনের শরীকদের মধ্যে অবিশ্বাস অনাস্থা বাড়তে দেয়া যাবেনা
রাঙামাটি-২৯৯ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী জুই চাকমার ব্যাপক গণসংযোগ ও পথসভা
গণতন্ত্র মঞ্চের নতুন সমন্বয়কের দায়িত্বে সাইফুল হক 