

সোমবার ● ১ মার্চ ২০২১
প্রথম পাতা » ছবিঘর » ক্ষমতার পালাবদলে এই আইন সরকারি দলের জন্যেও গলার ফাঁস হয়ে উঠতে পারে
ক্ষমতার পালাবদলে এই আইন সরকারি দলের জন্যেও গলার ফাঁস হয়ে উঠতে পারে
ঢাকা :: গতরাতে শেষ হওয়া বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির দুই দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় কমিটির শেষ অধিবেশনে গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়, জনগণের ডিজিটাল নিরাপত্তা নয়, রাজনৈতিক বিরোধী ও ভিন্নমতকে দমন করতে নিপীড়নের হাতিয়ার হিসাবে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে যথেচ্ছ ব্যবহার করে চলেছে। কিন্তু নিবর্তনমূলক এই কালো আইনও আখেরে সরকারকেও নিরাপত্তা দেবে না, বরং আত্মঘাতি হয়ে উঠতে পারে। অভিজ্ঞতা স্বাক্ষ্য দেয় যে অতীতে কোন কালো আইন অতীতে কোন কর্তৃত্বপরায়ণ স্বৈরতান্ত্রিক সরকারকে রক্ষা করতে পারেনি। ক্ষমতার পালাবদলে এখনকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সরকারি দলের নেতাকর্মীদের জন্য গলার ফাঁস হয়ে উঠতে পারে। প্রস্তাবে ডিজিটাল নিবর্তনমূলক সকল নিবর্তনমূলক ধারা বাতিল করার দাবি জানানো হয়। প্রস্তাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাবন্দী অবস্থায় প্রকাশক মোশতাক আহমেদ এর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনার বিশ^াসযোগ্য বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানানো হয়। একই সাথে প্রস্তাবে কারাবন্দী লেখক মোশতাকের মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষোভরত অবস্থায় গ্রেফতারকৃত ছাত্র আন্দোলনের সাতজন নেতাকর্মীকে অবিলম্বে মুক্তি দেবার আহ্বান জানানো হয়। প্রস্তাবে খুলনা পাটকল রক্ষা আন্দোলনের সংগঠক রুহুল আমিনকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার ও রিমাণ্ডে নেবার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয় এবং অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করা হয়।
সেগুনবাগিচায় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় বক্তব্য রাখেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আকবর খান, আবু হাসান টিপু, রাশিদা বেগম, এ্যাপোলো জামালী, শহীদুল আলম নান্নু, সজীব সরকার রতন, ফিরোজ আহমেদ, সাইফুল ইসলাম, অরবিন্দু বেপারী বিন্দু, কেন্দ্রীয় সংগঠক রহিমা খাতুন, ডা. মনোার হোসেন প্রমুখ।
সভায় গৃহীত আরেক প্রস্তাবে আধুনিকায়ন করে বন্ধ চিনিকলসমূহ চালু করে চিনিশিল্প, আখচাষীও শ্রমিকদের রক্ষা করার আহ্বান জানানো হয়।
সভায় গৃহীত বিশেষ প্রস্তাবে কৃষি ও কৃষক রকষায় ভারতের কৃষকদের অভূতপূর্ব জাগরণের প্রতি সংহতি ও একাত্মতা প্রকাশ করা হয়।
সভায় আগামী ১১-১৩ জুন’ ২১ পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক প্লেনাম অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।