

শুক্রবার ● ১৮ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » গাজিপুর » ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করুন
ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করুন
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, গণ -অভ্যুত্থান শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে পারেনি, তাদের জীবনের কষ্ট লাঘব করেনি।ছাত্র শ্রমিক জনতার গণ - অভ্যুত্থানে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষ সবচেয়ে বেশী জীবন দিলেও গত এক বছরে তাদের জীবন আরও দূর্বিসহ হয়েছে, তাদের প্রকৃত আয় কমেছে,দারিদ্র্য বেড়েছে। অভ্যুত্থানে শ্রমজীবী মেহনতিরা সবচেয়ে বেশী প্রতারণার শিকার হয়েছে।
তিনি ক্ষোভের সাথে উল্লেখ করেন, বৈষম্য বিলোপের ডাক নিয়ে অভ্যুত্থান হলেও গত এক বছরে একদিকে সমাজে বৈষম্য আরও প্রকট হয়েছে, আর অন্যদিকে পুরানো দূর্বৃত্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা আরও জেকে বসেছে।তিনি বলেন, দূর্বৃত্ত মাফিয়া নিয়ন্ত্রিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে না পারলে উপরসা রাজনৈতিক সংস্কার দিয়ে বেশীদূর এগুনো যাবেনা।
তিনি বলেন, এই সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ম্যান্ডেট হচ্ছে বিচার ও সংস্কারের প্রক্রিয়ায় আগামী ফেব্রুয়ারীতে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করা। তিনি বলেন, নির্বাচন যত বিলম্বিত হবে একদিকে নৈরাজ্য তত বৃদ্ধি পাবে আর অন্যদিকে দেশের বহুমুখী নিরাপত্তা ঝুঁকিও বাড়তে থাকবে।তিনি বলেন, সরকারের দক্ষতা ও কার্যকারীতা বাড়াতে না পারলে অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠান চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়ে যেতে পারে।
তিনি ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।
আজ ১৮ জুলাই-২০২৫ শুক্রবার বিকালে আশুলিয়ার শ্রীপুরে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা জেলা শিল্পাঞ্চল কমিটি আয়োজিত জুলাই -আগস্ট গণ অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
বহ্নিশিখা জামালী বলেন, বছর ঘুরতে না ঘুরতেই পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। যে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গত বছর জুলাই- আগষ্টে হাজারো ছাত্র,জনতা জীবন দিলো, আহত হলো, পঙ্গুত্ব বরণ করলো, সেই জুলাই মাসেই আবার সেই সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ জুলাই আগষ্ট গণ- অভ্যুত্থানের সামনের সারির নেতৃবৃন্দের উপর এই হামলা আক্রমণ সংগঠিত করলো।এটা পরাজিত ফ্যাসিবাদীদের চরম ঔদ্ধত্বের বহিঃপ্রকাশ। এই ঘটনা প্রমাণ করে যে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ।তিনি বলেন, গোপালগঞ্জ এর ঘটনার দায়দায়িত্ব অবশ্যই সরকারকে বহন করতে হবে।
আকবর খান বলেন, গণ অভ্যুত্থানের এক বছরের মাথায় মানুষের পরিবর্তনের আকাংখ্যা হতাশায় পর্যবসিত হয়েছে।তিনি বলেন, সরকারের অদূরদর্শীতার কারণে মব সন্ত্রাস ছড়িয়ে পড়ছে।
তিনি সরকারকে দৃঢভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করার আহবান জানান।
ঢাকা জেলা শিল্পাঞ্চল কমিটির সভাপতি শ্রমিক নেতা অরবিন্দু বেপারী বিন্দুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক , মাহমুদ হোসেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম, ফিরোজ আলী, আহত জুলাই যোদ্ধা ফায়েজুর রহমান মনির, শিল্পাঞ্চল কমিটির নেতা মোহাম্মদ শাহজাহান, মোহাম্মদ লিটন মন্ডল, মোহাইমিনুল হক, আল আমিন প্রমুখ।
বৃষ্টবিঘ্নিত সমাবেশের শুরুতে শহীদ আবু সাঈদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির দুই শহীদ বদিউজ্জামাল ও আবদুল লতিফসহ গণ - অভ্যুত্থানের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।