শিরোনাম:
●   পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠনের ১৩ সদস্য বিশিষ্ট রাঙামাটি জেলা কমিটি গঠন ●   গোপালগঞ্জে এনসিপির শান্তিপুর্ণ কর্মসূচীতে নিষিদ্ধ আ’লীগের হামলায় গনতন্ত্র মঞ্চের নিন্দা ●   নির্বাচনের আগে বিচারের উদ্যোগকে দেশবাসী দৃশ্যমান দেখতে চায় ●   যাদের অধিকাংশেরই জামানত হারানোর ভয় রয়েছে তারাই নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চায় ●   গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচীতে আ’লীগের আক্রমণে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি রাঙামাটি জেলা কমটির নিন্দা ●   সরকারের এজেন্ডা ছোট করে এনে তত্বাবধায়ক সরকারের আদলেই বাকি কাজ সম্পন্ন করা দরকার ●   গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচীতে আওয়ামী লীগের আক্রমণের নিন্দা ●   বড়ুয়া সংগঠনের নর্বগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দ রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সাথে সৌজন্য স্বাক্ষাত করেছেন ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠনের ৮ দফা দাবিতে স্মারকলিপি ●   মিলন সভাপতি ও প্রকাশ সম্পাদক পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠনের ১৭ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন
ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২

জনগণতন্ত্র-jonogonotontro/The Peoples Democracy
বুধবার ● ১৫ মার্চ ২০২৩
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটিতে কয়েকটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চলছে রমরমা মাদক ও দেহ ব্যবসা
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটিতে কয়েকটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চলছে রমরমা মাদক ও দেহ ব্যবসা
৬২৫ বার পঠিত
বুধবার ● ১৫ মার্চ ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

রাঙামাটিতে কয়েকটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চলছে রমরমা মাদক ও দেহ ব্যবসা

ছবি : সংবাদ সংক্রান্তছবি : সংবাদ সংক্রান্ত স্টাফ রিপোর্টার :: রাঙামাটি শহর অনৈতিক দেহ ব্যবসা ও মাদক ব্যবসার কয়েকটি সিন্ডিকেটের এর খোঁজ পাওয়া গেছে। পর্যটন নগরী খ্যাত রাঙামাটিতে থেমে নেই মাদক ও দেহব্যবসা।
জানা গেছে এর মূলহোতা জনৈক বাবুল মিয়া। বাবুল চাকুরীর পাশাপাশি চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, গাজিপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দালাল এর মাধ্যমে অসহায় গরিব পরিবারের নারীদের দেহ ব্যবসার জন্য সংগ্রহ করে থাকে।
তারপর মোবাইলে কথা বলে বাবুলের রাঙামাটির লোকাল দেহ ব্যবসায়ী বরকল উপজেলার সামাদ গাজির কণ্যা সাফিয়া খাতুন ওরফে স্বপ্না, তার মাদক ও নারী ব্যবসায়ী পার্টনার রাঙামাটি সদরের মৃত মো. বাদশা আলমের (বাদশা মিয়া) পুত্র মো. দেলোয়ার হোসাইন (খোকন ড্র্ইাভার), চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার পূর্বগুজরা গ্রামের ফয়েজ আহাম্মদের কণ্যা লিলু আকতার ওরফে নুপুর (নুপুরের বাবার বাড়ি ফটিকছড়ি) তার মাদক ও নারী ব্যবসায়ী পার্টনার চট্টগ্রাম সদরঘাট শেঠবাড়ী এলাকার মো. জসিম উদ্দীনের পুত্র মোহাম্মদ ফয়সাল সিন্ডিকেট এর আবাসিক হোটেলে নানা ধরনের মাদক, ইয়াবা ও নারী সরবরাহ করে থাকে।
সাফিয়া খাতুন ওরফে স্বপ্না নিজেও একজন মাদক ও দেহ ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর সিএমএম কোর্টে ইয়াবার মামলা রয়েছে। ঢাকার কাফরুল থানার মামলা নং-০১(১)/২০১৩ ইয়াবা মামলায় সে ৬মাস জেলখেটে রাঙামাটি এসে পালিয়ে ছিলো। স্বপ্নার বড়ভাই এবং বরকল থানা পুলিশের চাপে পড়ে স্বপ্নার আগের স্বামী বেতবুনিয়ার মো. মহিউদ্দীনসহ ঢাকায় গিয়ে আইনজীবির মাধ্যমে কোর্ট থেকে সেই মামলায় হাজিরা দিচ্ছে। চট্টগ্রামের হাটহাজারী মডেল থানার মামলা নং- ২৪/২০২২ এ মাদক মামলায় ৩মাস জেলখেটে স্বপ্না একমাস আগে চট্টগ্রামের জেল থেকে ছাড়া পায়। স্বপ্না ও তার কথিত স্বামী ব্যবসায়ী পার্টনার মো. দেলোয়ার হোসাইন বিরুদ্ধে রাঙামাটির কোতয়ালী থানার মামলা নং-জিআর-৫১৯/২০২১ এবং কাউখালি থানায় মামলা নং-জিআর ০৬/২০২২। এছাড়া চট্টগ্রামের রাউজান ও হাটহাজারী থানায় ডজনখানিক মাদক মামলা রয়েছে। রাঙামাটির কোতয়ালী থানার মামলা নং-জিআর-৫১৯/২০২১ এই মামলায় মো. দেলোয়ার হোসাইন গত ৬ মার্চ-২০২৩ তারিখ থেকে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে রাঙামাটি জেলা কারাগারে রয়েছে। অন্যদিকে লিলু আকতার তার ব্যবসায়ী পার্টনার মোহাম্মদ ফয়সালের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় ছিনতায়সহ একাধিক মাদক মামলা রয়েছে বলে জানাগেছে। মোহাম্মদ ফয়সাল এর নিজের ফেইজবুকে লিখে রেখেছে সে ছাত্রলীগ, সে নিজেকে পরিচয় দেয় র‌্যাব এর সোর্স, কখনো ডিবি আবার কখনো মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সোর্স পরিচয় দিয়ে নিরাপদে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে ।
লিলু আকতার ওরফে নুপুর রাউজান পূর্বগুজরা গ্রামে নিজের দুই কণ্যা সন্তান ও পঙ্গু স্বামীকে রেখে নেশাখোর ইয়াবা ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ফয়সালকে নিয়ে রাঙামাটি শহরে গড়ে তুলেছে আবাসিক হোটেলে নানা ধরনের মাদক, ইয়াবা ও নারী ব্যবসার সিন্ডিকেট।
সাফিয়া খাতুন ওরফে স্বপ্না, তার মাদক ও নারী ব্যবসায়ী পার্টনার মো. দেলোয়ার হোসাইন, লিলু আকতার ওরফে নুপুর তার মাদক ও নারী ব্যবসায়ী পার্টনার মোহাম্মদ ফয়সাল নিজেদের স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে রাঙামাটি শহরের শিমুলতলী, ভেদ ভেদী, সিও অফিস, কলেজ গেইট, রাজবাড়ি, পাবলিক হেল্থ, রাঙামাটি নিউ কোর্ট বিল্ডীং সোনালী ব্যাংক এর পিছনে, ফরেষ্ট কলোনী, পুরাতন বাস ষ্টেশন ও রাঙামাটি মহিলা কলেজ এলাকায় ঘর ভাড়া নিয়ে লোকচক্ষুর অন্তরালে সুকৌশলে সিন্ডিকেট এর মাধ্যমে আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার এবং হোটেল বয়-দের মাধ্যমে ইয়াবা ও নারী ব্যবসা দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে যাচ্ছে।
এদের মধ্যে সাফিয়া খাতুন ওরফে স্বপ্না নিরক্ষর হলেও সে ভয়াবহ ভয়ংকর দুধর্ষ এক দেহ ব্যবসায়ী। এই স্বপ্না তার সিন্ডিকেট এর মাধ্যমে রাঙামাটি শহরের ১টি আবাসিক হোটেল কক্ষে আটকিয়ে ফোন করে পুলিশ ও সাংবাদিকদের ডেকে এনে তাকে ধর্ষণ করেছে বলে
সাবেক একজন মেম্বারকে ফাসিয়ে ঐ মেম্বারকে জেলখাটায় পরে সেই মেম্বারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ধর্ষণ মামলাটি রফা-দফা করেছে বলে জানাযায়। এছাড়া সাফিয়া খাতুন ওরফে স্বপ্নার নারীদের মাধ্যমে গোপন ক্যমেরায় ভিডিও ফুটেজ ধারন করে অনেক রাঘব-বোয়ালদের ব্ল্যাকমেইল করে লোকলজ্জার ভয়ে অনেক ভুক্তভোগী মুখ খুালতে সাহস পায়না। সাফিয়া খাতুন ওরফে স্বপ্নার কাছে একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে তারমধ্যে একটির ঠিকানা মনিরামপুর, যশোর, অন্যটির ঠিকানা কাউখালি, রাঙামাটি বাকি আরোকটির ঠিকানা ভুষণছড়া, বরকল, রাঙামাটি বলে জানাগেছে। সাফিয়া খাতুন ওরফে স্বপ্না রাঙামাটি শহরে অবস্থিত নারীদের লোন দাতা বে-সরকারি ৮-১০ সংস্থা/ব্যাংক এর কাছ থেকে তার নিজের নামে এবং তার কাছে যে সকল নারী ধান্দা করতে আসে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ভুয়া স্বামী সাজিয়ে লোন নিয়ে কিস্তির টাকা পরিশোধ না করার একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাফিয়া খাতুন ওরফে স্বপ্না বোরকার আড়ালে অপহরণকারী অনেক বড় মাপের অপরাধ জগতের সাথে যুক্ত বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ভুক্তভোগী জানিয়েছেন । সাফিয়া খাতুন ওরফে স্বপ্নার স্বামীর সংখ্যা খোঁজে পাওয়া মসুকিল।
জানা গেছে, সাফিয়া খাতুন ওরফে স্বপ্নার আগের স্বামী মো. নুরুল হক রোহিঙ্গা। সে ছিলো আফগান ফেরত স্বশস্ত্র জ্বিহাদী ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মূলহোতা এবং জেএমবি নেতা সিদ্দিকুর রহমান বাংলা ভাইয়ের ডান হাত। ঝালকাঠিতে দুই সহকারী জজ হত্যা মামলায় জেএমবি নেতা শেখ আবদুর রহমান ও সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাইসহ অন্য ৫ জঙ্গির সাথে, সিদ্দিক উল-ইসলামকে ৩০ মার্চ ২০০৭ সালে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার পর স্বপ্নার স্বামী মো. নুরুল হক সৌদী আরবে পাড়ি জমায়। স্বপ্নার স্বামী মো. নুরুল হক এর ঘরে এক পুত্র সন্তান এখন কাউখালিতে স্বপ্নার বড় বোনের বাড়িতে থেকে লেখা পড়া করছে।
রাঙামাটিতে সাফিয়া খাতুন ওরফে স্বপ্না, তার পার্টনার মো. দেলোয়ার হোসাইন, লিলু আকতার ওরফে নুপুর এর পার্টনার মোহাম্মদ ফয়সাল সিন্ডিকেট ছাড়াও আবাসিক হোটেলে ইয়াবা ও নারী ব্যবসায়ীদের আরো কয়েকটি সিন্ডিকেট সক্রিয় আছে বলে জানা যায়। এসব সিন্ডিকেট এর দাবি তারা সাংবাদিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনকে মাসিক মাসোহারা দিয়ে আবাসিক হোটেলে অবৈধ দেহ ও মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এরা এক এলাকায় বাড়িভাড়া নিয়ে বেশী দিন থাকেনা। তারা কয়েকমাস পর-পর বাড়ি
বদল করে। রাঙামাটি শহরেরর যেসব আবাসিক হোটেলে অবৈধ দেহ ব্যবসা চলে সেইসব হোটেল মালিকদের কাছে কৌশলে পরিচয় জানতে চাইলে তারা বলেন, আমরা কিছুই জানিনা, এসব হোটেল বয় এবং হোটেল মানেজারদের অপকর্ম। মালিকরা নিজেদের অবৈধ দেহ ব্যবসা সাথে জড়িত নয় বলে দাবি করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব অবৈধ দেহ ব্যবসায় জড়িতরা বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে পড়ুয়া এবং গ্রামমঞ্চল থেকে আসা। এদের রয়েছে এক ধরনের দালাল চক্রের নেটওয়ার্ক। বিভিন্ন সময়ে রাঙামাটি শহর এলাকার পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে এই অবৈধ ব্যবসা করে আসছে বলে জানা যায়।
সাফিয়া খাতুন ওরফে স্বপ্না, তার পার্টনার মো. দেলোয়ার হোসাইন কালো রংয়ের টয়োটা কোম্পানীর প্রাইভেট কার যার রেজিষ্ট্রেশন (নং-চট্টমেট্ট গ-১১-০৮৫৪) এবং লিলু আকতার ওরফে নুপুর এর পার্টনার মোহাম্মদ ফয়সাল সবুজ রংয়ের মোটরসাইকেল (নং- রাঙামাটি-এ-০২-০৫৪৭) যোগে অনেক রাত্রি পর্যন্ত তাদের সিন্ডিকেটের আবাসিক গুলিতে মাদক ও নারী সরবারাহ করার অভিযোগ রয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রাঙামাটিতে আবাসিক হোটেলের নামে দিনের পর দিন চলছে এই রমরমা দেহ ব্যবসা। রমরমা ভাবে চলছে কোতয়ালী থানাধীন এলাকায় রাঙামাটি শহরের প্রাণ কেন্দ্র নিউ কোর্ট বিল্ডীং প্রশাসনের নাকের ডগায়, রাঙামাটি পৌরসভা গেইটের সামনে, রাঙামাটি পৌর মাকের্টের মূল সড়ক এর পাশে, পুরাতন বাস ষ্টেশন, পুরাতন বাস ষ্টেশন দোয়েল চত্বর এলাকার মাতৃমঙ্গল অফিস সংলগ্ন, রিজার্ভবাজারের প্রবেশ মূখ নতুন বাস ষ্টেশন এলাকায়, রিজার্ভবাজার মসজিদের সামনে, রিজার্ভবাজার সিএন্ডজি ষ্টেশন এলাকায় আল-হাছনাইন নুরানী মাদ্রাসা সংলগ্ন অবস্থিত আবাসিক হোটেলে দীর্ঘদিন ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে আসছে ইয়াবা, গাঁজা ও দেশীয় চোলাই মদসহ মাদক এবং অনৈতিক দেহ ব্যবসা। আর ওই হোটেলে উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়েরাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত পর্যটক, যাত্রী ও মোটর শ্রমিকদের আনাগোনাই বেশি। এতে ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ।
দীর্ঘদিন অনুসন্ধান করে রাঙামাটি শহরের রিজার্ভবাজার, পুরাতন পুলিশ লাইন এলাকার কেরানী পাহাড়, মাঝেরবস্তী, তবলছড়ি, স্বর্ণটিলা, আসামবস্তী,ভেদ ভেদী পাড়া, ভেদ ভেদী মুসলিম পাড়া, শিমুলতলী, আমানতবাগ, কলেজ গেইট, টিটসি রোড, পিটিআই এলাকা, সুদিপ্তা দেওয়ান পাড়া, টিএন্ডটি এলাকা, রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল এলাকা, পাবলিক হেলথ এলাকা, কালিন্দীপুর, চম্পকনগর, ট্রাইবেল আদাম, ফরেষ্ট কলোনী, কৃষি অফিস এলাকা, বনরুপা-সমতাঘাট এলাকা, কাঠালতলী, গর্জনতলী, ফিসারী এলাকা,বাস ষ্টেশন এলাকা, এসপি অফিস ও রাঙামাটি মহিলা কলেজ এলাকা বর্তমান সাফিয়া খাতুন ওরফে স্বপ্না এবং তার সিন্ডিকেটের সদস্যদের সর্বশেষ অবস্থান কলেজগেইট মোটেল জজ এর পিছনে নতুনপাড়া এলাকায় ইয়াবা ব্যবসায়ীদের স্বর্গরাজ্য পরিনত হয়েছে। রির্জাভবাজারের মাদক সম্রাট ইব্রাহিম, হোটেল কর্মচারী সুমন,মো. আব্দুল লতিফ ও মোহাম্মদ ফয়সালসহ একটি সংঘবদ্ধ চক্র ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে। এদের সাথে যোগাযোগ রয়েছে এলাকাভিত্তিক খুচরা ইয়াবা ব্যবসায়ীদের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আবাসিক হোটেলে কর্মরত এক ব্যক্তি জানান, আমি এখানে চাকরি করি। হোটেলের মালিক পক্ষ বেশ কয়েকটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পাহাড়ি-বাঙ্গালী বিভিন্ন বয়সের নারীদের নিয়ে এসে অসামাজিক কর্মকান্ডের ব্যবসা চালিয়ে আসছেন।
অনুসন্ধানে জানাগেছে অপরাধিদের নিরাপদ আবাসস্থল ইদানিং রাঙামাটির অধিকাংশ হোটেল, মোটেল ও গেষ্ট হাউজ সমুহ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাকি দিয়ে সহজে অপরাধিরা মাসের পর মাস তাদের অপরাধ জগতের কর্মকান্ড চলিয়ে যাচ্ছে। এসব অপরাধি সিন্ডিকেটের সাথে রাঘব-বোয়াল জড়িত বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারনা।
এছাড়া পবিত্র রমজান এবং ঈদকে সামনে রেখে একটি প্রতারকচক্র জাল টাকা পাচার চক্রের সদস্যরা নিরাপদ আবাসস্থল হিসাবে আবাসিক হোটেল, মোটেল ও গেষ্ট হাউজ বেঁচে নিচ্ছে।
এবিষয়ে রাঙামাটির সকল হোটেল, মোটেল, গেষ্ট হাউজ মালিক সমিতি‘র সাধারণ সম্পাদক মইনুদ্দীন সেলিম বলেন, কিছু আবাসিক হোটেল মালিকের মাদক ও অবৈধ ব্যবসায় জড়িত থাকার কারণে নিজেকে আবাসিক হোটেল মালিক পরিচয় দিতেও লজ্জাবোধ করি। এত কিছুপরও কিভাবে সারা বছর ধরে আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে রাঙামাটি আবাসিক হোটেল মালিক সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে আমরা বুঝতে পারছিনা।
তিনি আরো বলেন, কিছুদিনের মধ্যে পবিত্র মাহে রমজান মাস শুরু হবে, তার আগেই রাঙামাটিতে আবাসিক হোটেলে অবৈধ সকল ব্যবসা বন্ধ করা হয় সেই উদ্যেগ নিতে রাঙামাটির সকল হোটেল, মোটেল, গেষ্ট হাউজ মালিক সমিতি‘র সাধারণ সম্পাদক মইনুদ্দীন সেলিম আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।
এবিষয়ে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রাঙামাটি কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আব্দুল হালিম রাজ বলেন, বিগতদিনে রাঙামাটিতে মাদকের বিস্তার এভাবে ছিলোনা, সম্প্রতিক সময়ে রাঙামাটি শহরের প্রত্যকটি এলাকায় মাদকের প্রবনতা লক্ষ্য করা গেছে। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রাঙামাটি কার্যালয়ের জনবল কম তাই রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পুলিশসহ জেলার সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করে ব্যাপকভাবে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে।
মাদক নির্মূলের জন্য সাধারন মানুষকে আরো বেশী সচেতন হতে পরামর্শ দেন তিনি।
মাদক মামলার বে-সরকারি স্বাক্ষীদের যাতায়াতভাড়া-খাওয়া খরচ ও নিরাপত্তা সরকারিভাবে ব্যবস্থা নিলে স্বাক্ষীগণ স্বপ্রনোদিত ভাবে আদালতে উপস্থিত হয়ে স্বাক্ষী দিতে উৎসাহিত হবে এতে মাদককারবারীরা দ্রুত মামলা নিস্পত্তির মাধ্যমে সাজাভোগ করবে।
পবিত্র মাহে রমজান মাসকে সামনে রেখে আবাসিক হোটেল, মোটেল, গেষ্ট হাউজ গুলোতে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করার পরিকল্পনার কথাও জানান মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রাঙামাটি কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আব্দুল হালিম রাজ।
এবিষয়ে রাঙামাটি পুলিশ কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি ও অপরাধ) শাহনেওয়াজ রাজু বিপিএম, পিপিএম বলেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা একটি পর্যটন এলাকা এবং এ জেলায় বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর লোকজনের বসবাস। আমাদের পুলিশবাহিনীর যে জনবল আছে তাদের মাধ্যমে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি অপরাধিদের বিরুদ্ধে সোচ্ছার থেকে কাজ করে যাওয়ার জন্য এবং রাঙামাটি জেলা সকলের জন্য ও পর্যটকদের ভ্রমনের উপযোগি একটি শহর গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা সদা তৎপর এবং সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বলতে পারেন রাঙামাটিতে উল্লেখ্যযোগ্য কোন অপরাধের প্রভাব ফেলতে পারেনি। আমরা যখন অপরাধের তথ্য পেয়ে থাকি সাথে সাথে আমরা ব্যবস্থা নিয়ে থাকি, আমাদের থানা পুলিশ ও আমাদের ডিবি পুলিশ তৎপর সর্বদায় আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি অপরাধ নির্মূল করার ।
তিনি আরো বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিটি থানায় অভিযান অব্যহত আছে, এছাড়া কোন আবাসিক হোটেল, মোটেল ও গেষ্ট হাউজে বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকান্ডের তথ্য পেলে তাৎক্ষনিক আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে আমরা সেটা নির্মূল করার চেষ্টা করব। পবিত্র মাহে রমজান মাস উপলেক্ষ সার্বিক আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে পুলিশের তৎপরতা আরো বৃদ্ধি করা হবে বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহনেওয়াজ রাজু বিপিএম, পিপিএম বলেন ।





চট্টগ্রাম বিভাগ এর আরও খবর

পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠনের ১৩ সদস্য বিশিষ্ট রাঙামাটি জেলা কমিটি গঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠনের ১৩ সদস্য বিশিষ্ট রাঙামাটি জেলা কমিটি গঠন
গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচীতে আ’লীগের আক্রমণে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি রাঙামাটি জেলা কমটির নিন্দা গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচীতে আ’লীগের আক্রমণে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি রাঙামাটি জেলা কমটির নিন্দা
বড়ুয়া সংগঠনের নর্বগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দ রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সাথে সৌজন্য স্বাক্ষাত করেছেন বড়ুয়া সংগঠনের নর্বগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দ রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সাথে সৌজন্য স্বাক্ষাত করেছেন
পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠনের ৮ দফা দাবিতে স্মারকলিপি পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠনের ৮ দফা দাবিতে স্মারকলিপি
মিলন সভাপতি ও প্রকাশ সম্পাদক পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠনের ১৭ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন মিলন সভাপতি ও প্রকাশ সম্পাদক পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠনের ১৭ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন
পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন
সরকারের অকার্যকারীতায় লুম্পেন বখাটেদের দৌরাত্ম অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে সরকারের অকার্যকারীতায় লুম্পেন বখাটেদের দৌরাত্ম অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে
রাঙামাটির জিপি ও বিএনপি নেতা  এড. মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে পেশাগত আচরণবিধি  লঙ্ঘনের অভিযোগ রাঙামাটির জিপি ও বিএনপি নেতা এড. মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে পেশাগত আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ
দেড় কোটি টাকা চাঁদার দাবীতে রাবিপ্রবিতে অস্ত্রধারীদের হানা : ক্যাম্প স্থাপনের অনুরোধ জানিয়েছেন ভিসি দেড় কোটি টাকা চাঁদার দাবীতে রাবিপ্রবিতে অস্ত্রধারীদের হানা : ক্যাম্প স্থাপনের অনুরোধ জানিয়েছেন ভিসি
আদালত অবমাননার অভিযোগে রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ১৮ জনকে নোটিশ আদালত অবমাননার অভিযোগে রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ১৮ জনকে নোটিশ

আর্কাইভ