শিরোনাম:
●   পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠনের ১৩ সদস্য বিশিষ্ট রাঙামাটি জেলা কমিটি গঠন ●   গোপালগঞ্জে এনসিপির শান্তিপুর্ণ কর্মসূচীতে নিষিদ্ধ আ’লীগের হামলায় গনতন্ত্র মঞ্চের নিন্দা ●   নির্বাচনের আগে বিচারের উদ্যোগকে দেশবাসী দৃশ্যমান দেখতে চায় ●   যাদের অধিকাংশেরই জামানত হারানোর ভয় রয়েছে তারাই নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চায় ●   গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচীতে আ’লীগের আক্রমণে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি রাঙামাটি জেলা কমটির নিন্দা ●   সরকারের এজেন্ডা ছোট করে এনে তত্বাবধায়ক সরকারের আদলেই বাকি কাজ সম্পন্ন করা দরকার ●   গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচীতে আওয়ামী লীগের আক্রমণের নিন্দা ●   বড়ুয়া সংগঠনের নর্বগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দ রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সাথে সৌজন্য স্বাক্ষাত করেছেন ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠনের ৮ দফা দাবিতে স্মারকলিপি ●   মিলন সভাপতি ও প্রকাশ সম্পাদক পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠনের ১৭ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন
ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২

জনগণতন্ত্র-jonogonotontro/The Peoples Democracy
শনিবার ● ২০ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » সাংবাদিক কপিল পরিবারের মানবেতর জীবনযাপন
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » সাংবাদিক কপিল পরিবারের মানবেতর জীবনযাপন
৬৮৯ বার পঠিত
শনিবার ● ২০ জুন ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সাংবাদিক কপিল পরিবারের মানবেতর জীবনযাপন

---বাগেরহাট :: বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার যে মানুষটি সমাজের নানা চিত্র সংবাদ মাধ্যমে তুলে ধরেন নির্ভীকভাবে, তিনিই এখন চরম মানবেতর জীবন যাপন করছেন। নিরাপদ আশ্রয়, খাদ্য এবং ওষুধ-পথ্য সংকটে রয়েছেন তিনি ও তার পরিবার। প্রায় শতবর্ষী মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ পাঁকা ঘরে তাদের বসবাস। চুন-সুড়কির দালান ঘরের অভ্যন্তরে পলিথিনের ছাউনি, তবু তাতে মানেনা বৃষ্টি। ছাদ চুঁইয়ে পড়তে থাকে পানি।সাংবাদিক পরিবার চরম অসহায়।সাংবাদিক পরিবার সরকারি সহায়তা চায়।

একদিকে ওই সাংবাদিকের মেরুদন্ডের হাড়ে তীব্র ব্যাথায় চলাফেরা করাটা মারাত্মক কষ্টসাধ্য, প্রায় অচল অবস্থা, চিকিৎসার প্রয়োজনীয় অর্থ যোগাড় হচ্ছে না। গত বছর তিনি এইচএলএবি-২৭ পজেটিভে আক্রান্ত হলে শুভাকাঙ্খিগণের সহযোগিতায় কোন রকমে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফেরেন। অর্থাভাবে তার পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা হয়নি।

অপরদিকে, করোনা ভাইরাসের সরকারী বিধি নিষেধে তার সংসারের আয়ের মাধ্যম-স্ত্রীর এনজিওর কাজ এবং ছোট ভাইয়ের ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালানো প্রায় বন্ধ। মারাত্মক অভাবের প্রেক্ষিতে লোকলজ্জা ছুড়ে ফেলে অসুস্থ্য শরীরেও ইউনিয়ন পরিষদের ত্রাণের লাইনে গিয়ে দাড়ান তিনি। অথচ পেশায় তিনি সাংবাদিক। পেশাদারিত্বে আপোষহীন ও নির্ভীক। ওই সাংবাদিকের দুই সন্তান। একজন সপ্তম শ্রেণিতে, অপরজন তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ পুরনো দালান ঘরে তারা বসবাস করছে। দেয়ালের পলেস্তরা, ছাদের টালি ও জংধরা লোহার পাতের জং খসে ঝরে পড়ছে। তা ঠেকানোর জন্য তারা পলিথিন টানিয়ে পাঁকা দালান ঘরের ভিতরে তৈরী করেছে বিকল্প ঘর। সেই আবরণে বাসা বেঁেধছে সাপ, ব্যাঙ, ইঁদুর, টিকটিকি, তেলাপোকা আর মাকড়সার দল। ঝড়-বৃষ্টি হলে তাদের অবস্থা হয় শোচনীয়। বৃষ্টির পানি ছাঁদ ও দেয়াল চুঁইয়ে ঘরের ভিতরের সবকিছু একাকার করে ফেলে। তখন ব্যাথার যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে সাংবাদিক কপিল ঘোষ বালতি নিয়ে পানি ঠেকাতে চেষ্টা করে। ততক্ষণে তার ঘরের বইপত্র, ছবি, পত্রিকা, সিডিসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সংরক্ষিত জিনিস ভিজে একাকার হয়। সংসারের অন্য সদস্যরা ব্যস্ত হয়ে পড়ে বস্তাবন্ধি জিনিসগুলো একবার এই খাটের তলা, আরেকবার অন্য চৌকিতে স্থানান্তর করার জন্য।

সাংবাদিক কপিল ঘোষ বলেন, ‘কখন মরে যাবো জানিনা। তবে দুঃখ এই যে, নিজের চিকিৎসার জন্য এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বড় ছেলের চিকিৎসার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর দুইটি আবেদন করেছিলাম। প্রায় এক বছর পেরিয়ে যায়। কিন্তু সেই আবেদনের কোন উত্তর পাইনি। তবু অপেক্ষায় আছি হয়তো একদিন সহযোগিতা আসবে!’

১৯৯৮ সালে কপিল ঘোষ সাংবাদিকতা শুরু করেন। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) হতে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা পাশ করেন। দৈনিক যুগান্তর, সমকাল পত্রিকায় ইতোপূর্বে কাজ করেছেন। প্রায় ১০ বছর উন্নয়নকর্মী ছিলেন। বর্তমানে তিনি কালের কন্ঠ পত্রিকায় চিতলমারী উপজেলা প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করছেন।

তার পারিবারিক সূত্র জানায়, ২০১৯ সালে কপিল ঘোষ অসুস্থ্য হলে তার শুভানুধ্যায়ী ও উপজেলা প্রশাসনের আর্থিক সহায়তায় তাৎক্ষনিকভাবে চিকিৎসা করানো হয়। বর্তমানে অবস্থা শোচণীয়। ওষুধ-পথ্য দুরে থাক। তিন বেলার পরিবর্তে দুই বেলা প্রয়োজনীয় খাবার যোগাড় করাও তাদের জন্য কষ্টসাধ্য।

সাংবাদিক কপিল ঘোষ আরও জানান, করোনার এই দুর্যোগ কালে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের নিকট খাদ্যের অভাবের আবেদন জানিয়ে পেয়েছেন দুই হাজার টাকা। বাগেরহাট ফাউন্ডেশন দিয়েছে আরো দুই হাজার টাকা। সুরশাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় গোপনে এক রাতে দিয়েছে শিশুদের খাবার। উপজেলা প্রশাসন হতে প্রেস কাবে পাঠানো ত্রাণ হতে পেয়েছে দশ কেজি চাল, আধা লিটার তেল, এক কেজি আলু ও ডাল। প্রেস কাবের কয়েক সাংবাদিক বন্ধু মিলে তাকে দিয়েছে কুড়ি কেজি চাল, ডাল, তেল ইত্যাদি। অসহায় এই সাংবাদিক ও তার পরিবার এখন চরম মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা জরুরী।





খুলনা বিভাগ এর আরও খবর

সরকার ও তার অনুগতদের মধ্যে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী তামাশাকে উন্মুক্ত নির্বাচন বলার অবকাশ নেই। এটা ছিল এক মহাপ্রতারনা : সাইফুল হক সরকার ও তার অনুগতদের মধ্যে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী তামাশাকে উন্মুক্ত নির্বাচন বলার অবকাশ নেই। এটা ছিল এক মহাপ্রতারনা : সাইফুল হক
সাতক্ষীরায় গণতন্ত্র মঞ্চের আলোচনা সভা সাতক্ষীরায় গণতন্ত্র মঞ্চের আলোচনা সভা
সম্পাদক ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে রুজু করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করুন সম্পাদক ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে রুজু করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করুন
সাতক্ষীরায় ৫ দফা দাবিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির গণঅবস্থান সাতক্ষীরায় ৫ দফা দাবিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির গণঅবস্থান
স্বার্থান্বেষী কোটারি গোষ্ঠীর প্রয়োজনেই একের পর এক গনবিরোধী হটকারি সিদ্ধান্ত  নেয়া হচ্ছে স্বার্থান্বেষী কোটারি গোষ্ঠীর প্রয়োজনেই একের পর এক গনবিরোধী হটকারি সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে
জলবায়ুর বিপর্যয় রোধে দক্ষিনাঞ্চলের জন্য জরুরী ভিত্তিতে “জাতীয় টাস্কফোর্স” গঠন করুন জলবায়ুর বিপর্যয় রোধে দক্ষিনাঞ্চলের জন্য জরুরী ভিত্তিতে “জাতীয় টাস্কফোর্স” গঠন করুন
বামপন্থী নেতা রুমির মৃত্যুতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শোক প্রকাশ বামপন্থী নেতা রুমির মৃত্যুতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শোক প্রকাশ
চিনিকলে এক কেজি চিনির উৎপাদন খরচ ১২৩ মিলিগেটে বিক্রি ৬৩ চিনিকলে এক কেজি চিনির উৎপাদন খরচ ১২৩ মিলিগেটে বিক্রি ৬৩
খুলনায় সাম্প্রদায়িক হামলায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের উদ্বেগ খুলনায় সাম্প্রদায়িক হামলায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের উদ্বেগ
দক্ষিণাঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়নে জাতীয় কমিশন গঠন করুন : সাইফুল হক দক্ষিণাঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়নে জাতীয় কমিশন গঠন করুন : সাইফুল হক

আর্কাইভ