

শুক্রবার ● ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » ছবিঘর » রাজনৈতিক বিরোধীদের দমন করতেই দ্রুত বিচার আইন স্থায়ী করা হচ্ছে
রাজনৈতিক বিরোধীদের দমন করতেই দ্রুত বিচার আইন স্থায়ী করা হচ্ছে
আজ সকালে বিপ্লবী যুব সংহতির কেন্দ্রীয় সংগঠকদের সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনে দেশের বিশাল যুব শক্তি এক আশাহীন - স্বপ্নহীন জনগোষ্ঠীতে পরিনত হয়েছে। দেশের বিশাল সম্ভাবনাময় যুব সমাজকে নৈতিক দিক থেকেও দূর্বল করে তাদেরকে নানাভাবে নেশাগ্রস্ত করে তোলা হচ্ছে। উপযুক্ত কর্মসংস্থানের
সুযোগ না তাদেরকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদেশে পাড়ি দিতে হচ্ছে।যুবকদের একটা অংশকে সরকার ও সরকারি দল তাদের অপরাজনৈতিক তৎপরতার সহযোগী লাঠিয়াল আর মাস্তান সন্ত্রাসীতে পরিনত করেছে।
তিনি বলেন, জুলুম - জালেমশাহী আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা যুবাদের ধর্ম। ভোটের অধিকারসহ গণতান্ত্রিক অধিকার হরণকারি বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন বিদায় দেয়া আজ দেশপ্রেমের বড় কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।তিনি যুব আন্দোলনের সংগঠকদেরকে দেশ ও জনগণকে রক্ষার পবিত্র ব্রতে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
তিনি ক্ষোভের সাথে উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক বিরোধীদের দমন করতেই দ্রুত বিচার আইন স্থায়ী করা হচ্ছে। তিনি বলেন প্রচলিত আইনী প্রক্রিয়া এডিয়ে দ্রুত বিচারের নামে এই পর্যন্ত বিরোধী দলীয় অসংখ্য নেতা কর্মীকে জেলে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার এখন বিচার বিভাগকে বিরোধী দল দমনে প্রধান হাতিয়ারে পরিনত করেছে। মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল বিচার বিভাগকেও তারা নানাভাবে করায়ত্ব করে ফেলেছে। এটা ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত।
তিনি দ্রুত বিচার আইন বাতিল করে প্রচলিত আইন ও বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসুত্রিতা কাটিয়ে উঠতে জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।
সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিপ্লবী যুব সংহতির সদস্যসচিব মীর রেজাউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা স্বাধীন মিয়া, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, আবদুল মান্নান রানা,ফাহিম আকতার মিনহাজ, আবুল কালাম, জামাল সিকদার, নান্টু দাস,হাবিবুর রহমান রুবেল, দীপু দাস,মোহাম্মদ নাঈম উদ্দিন প্রমুখ।
সভায় জাতীয় যুব কনভেনশন এর লক্ষে আগামী ১ মার্চ বিপ্লবী যুব সংহতির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভার শুরুতে দেশে গণআন্দোলনের শহীদ ও গাজায় ইজরায়েলীর গণহত্যার শিকার ফিলিস্তিনিদের জন্য গভীর শোক প্রকাশ করা হয় ও এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।