মঙ্গলবার ● ৯ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » ছবিঘর » ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে বাম জোটের মানববন্ধন
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে বাম জোটের মানববন্ধন
ঢাকা :: আজ ১৮ মে সোমবার সকালে সাড়ে ১১টায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের উদ্যোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি, ঈদের আগে ২০ মে’র মধ্যে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস প্রদান, ক্রয় কেন্দ্র খুলে খোদ কৃষকের কাছ থেকে সরকারী উদ্যোগে মোট উৎপাদনের ২৫% বোরো ধান ক্রয়, ত্রাণ নিয়ে চুরি-দুর্নীতি বন্ধ, সবার ত্রাণ প্রাপ্তি নিশ্চিত, গণহারে সকলের করোনা পরীক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত এবং বাজেটে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, সামাজিক সুরক্ষা খাতে অগ্রাধিকার দিয়ে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে মানববন্ধন বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাজ্জাদ জহির চন্দন, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশরেফা মিশু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য কমরেড আকবর খান, বাসদ (মার্কসবাদী)র কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য কমরেড মানস নন্দী, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের নেতা কমরেড শামীম ইমাম ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের কমরেড হামিদুল হক।
মানববন্ধন বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাফি রতন, সম্পাদ রুহীন হোসেন প্রিন্স, জলি তালুকদার, বাসদ নেতা জুলফিকার আলী, খালেকুজ্জামান লিপন, বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা ফখরুদ্দিন কবীর আতিক, নাঈমা খালেদা মনিকা, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা মীর মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাক, কম্যুনিস্ট লীগ নেতা অনুপ কুন্ডু প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকারের চিকিৎসা ব্যবস্থার দেউলিয়াত্ব ও চরম ব্যর্থতা ফুটে ওঠেছে। সারাদেশে ত্রাণ তৎপরতায় বেশুমার চুরি, লুটপাট, দুর্নীতি ও দলীয়করণের সাথে ক্ষমতাসীনদের যুক্ত থাকার বিষয়টিও গণমাধ্যমে ও ভার্সুয়াল মাধ্যমে প্রকাশ করার অপরাধে সাংবাদিক, লেখক, কার্টুনিস্ট, নাগরিকদের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে জেলে পুরেছে। নেতৃবৃন্দ গ্রেপ্তারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করার দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সামনে ঈদ কিন্তু এখনও অনেক গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতনও দেওয়া হয়নি। মে মাসের বেতন নাকি দিবে জুন মাসে, অথচ শ্রমিকদের বেতন দেয়ার জন্য ২% সুদে মালিকদের ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছে সরকার। সাধারণ ছুটি সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে সবেতন ছুটি হওয়ার কথা কিন্তু মালিকরা শ্রমিকদের ৬৫ ভাগ বেতন দেয়ার কথা বলছে, যা অন্যায় ও বেআইনী। শ্রমিকরা স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে থেকে উৎপাদনের চাকাকে সচল রাখছে। তাই ঈদের আগে প্রাতিষ্ঠানিক অপ্রাতিষ্ঠানিক সকল শ্রমিকদের বকেয়াসহ চলতি মাসের পূর্ণবেতন ও বোনাস আগামী ২০ মের মধ্যে প্রদান করার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে ১০৪০ টাকা দরে কৃষকের কাছ থেকে আট লাখ মেট্রিক টন বোরো ধান কেনার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে হাওরের ধান কাটা শেষ হয়েছে। ২৬ এপ্রিল থেকে সরকারের ধান ক্রয় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ১০/১২ মে পর্যন্ত শুরু হয়নি নানা জটিলতার কথা বলে। বাস্তবে ফরিয়া মধ্যসত্ত্বভোগী চাতাল মালিকদের ধান কেনায় সুবিধা দিতেই এই বিলম্ব। সরাকরের পক্ষ থেকে প্রতি ইউনিয়নে কমপক্ষে একটি করে ক্রয় কেন্দ্র খুলে খোদ কৃষকের কাছ থেকে উপাদিত বোরো ধানের ২৫% ক্রয় করার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ। কারণ সরকার ধান কম কিনে চাল বেশি কিনলে লাভ হবে চাতাল মালিকদের।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ত্রাণ নিয়ে সারাদেশে সরকারী দলের তথাকথিত জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ব্যাপক লুটপাট, চুরির অভিযোগ উঠেছে। অবিলম্বে ত্রাণ চোরদের গ্রেপ্তার-বিচার এবং তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানিয়ে রোজগারহীন হতদরিদ্র সকলের ত্রাণ প্রাপ্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ গণহারে সকলের করোনা পরীক্ষা এবং কোভিড, ননকোভিড সকলের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতের দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, শাসকদের দৃষ্টিভঙ্গীর কারণে জনকল্যান খাতে বাজেটে বরাদ্দ প্রতি বছর কমে, তাই এবারে করোনা দুর্যোগে দেখা গেছে স্বাস্থ্য সেবা কত অবহেলিত, ফলে আগামী বাজেটে স্বাস্থ্য, কৃষি, শিক্ষা ও সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ না বাড়ানোর হলে জনস্বাস্থ্য, অর্থনীতি, খাদ্য নিরাপত্তা কোনটাই নিশ্চিত করা যাবে না।




ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ও গণভোটকে ঝুঁকিতে ফেলা যাবেনা
সিইসি-কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জুঁই চাকমা
নির্বাচনে কালো টাকা বন্ধ না হলে আগামী সংসদেও বিত্তবান আর রাজনৈতিক মাফিয়াদের আধিপত্য দেখা যাবে
রাঙামাটিতে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় র্যাব, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার বাহিনী মোতায়েন চায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
এবারের নির্বাচন নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে প্রতি ভোট কেন্দ্রে র্যাব, সেনাবাহিনী মোতায়েন করার দাবি
যুগপৎ আন্দোলনের শরীকদের মধ্যে অবিশ্বাস অনাস্থা বাড়তে দেয়া যাবেনা
রাঙামাটি-২৯৯ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী জুই চাকমার ব্যাপক গণসংযোগ ও পথসভা
গণতন্ত্র মঞ্চের নতুন সমন্বয়কের দায়িত্বে সাইফুল হক
জুলাই সনদের স্বাক্ষরকারী দল হিসাবে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি গণভোটে হাঁ এর পক্ষে জনমত সংগঠিত করবে
পার্বত্য বড়ুয়া কনভেনশন : স্মারকলিপি প্রদান, কালো ব্যাজ ধারণ ও হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা 