

বুধবার ● ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » ছবিঘর » স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্বহীন বক্তব্যে ধর্ষকেরা উৎসাহিত হতে পারে
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্বহীন বক্তব্যে ধর্ষকেরা উৎসাহিত হতে পারে
ঢাকা :: শ্রমজীবী নারী মৈত্রীর সভাপতি বহ্নিশিখা জামালী ও সাধারণ সম্পাদক রাশিদা বেগম আজ এক বিবৃতিতে দেশব্যাপী নারী ও শিশু ধর্ষণ, হত্যা, নির্যাতনের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন দেশে যেন ধর্ষণের মহমারি শুরু হয়েছে। শিশু, কিশোরী, বিবাহিতা নারী, প্রৌড়া কেউই আজ নিরাপদ নয়। পাহাড় থেকে সমতল, আদিবাসী, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, প্রতিবন্ধী, ভিক্ষুকরাও ধর্ষক দ্বারা আক্রান্ত। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহও নারীদের জন্য নিরাপত্তা বিধান করতে পারছে না। দেশের শিক্ষাঙ্গণ, ছাত্রাবাসসহ ঘরে-বাইরে প্রায় সর্বত্রই নারীরা ধর্ষিত, লাঞ্চিত ও নিপীড়ন নিগ্রহের শিকার হচ্ছে। সিলেটে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে তরুণী বধুর উপর পাশবিক নির্যাতন, খাগড়াছড়িতে প্রতিবন্ধী নারীকে গণধর্ষণ, রাজশাহীর তানোরে গীর্জার ফাদার প্রদীপ গ্রেগরি কর্তৃক কিশোরীকে ধর্ষণের রোমহর্ষক ঘটনাবলী পুরো দেশের একটি খণ্ড চিত্র মাত্র। ধারাবাহিক এসব হত্যা, ধর্ষণ-নিপীড়ন একদিকে সামাজিক নৈরাজ্যের প্রতিচ্ছবি আর অন্যদিকে নৈতিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয়ের নজীর।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ধর্ষক ও নারী নিপীড়কেরা প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে এসব বর্বরোচিত অপরাধ সংঘটিত করে আসছে। প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতার জোরে তারা এখন বেপারোয়া। সরকারি দলে ছাত্র সংগঠন এ ব্যাপারে সবচেয়ে এগিয়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ধর্ষক ও অপরাধি চক্র ধরা ছোয়ার বাইরে থাকার কারণে ধর্ষণ আজ মহামারী রূপ নিয়েছে। গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্র কর্তৃক ‘ধর্ষণ নেই এমন কোন দেশ নেই’ এমনতর বক্তব্যে ধর্ষণের মত অপরাধসমূহ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দায়িত্বশীল কোন পদের কর্মকর্তারা এই ধরনের লাগামহীন বক্তব্য প্রদান করতে পারেন না। এই ধরনের বক্তব্য ও বিবৃতিতে ধর্ষকেরা আরও উৎসাহিত হতে পারে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ ধর্ষকদের শাস্তি প্রদানে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন এবং নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ধর্ষকদের দ্রুত বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান। একই সাথে নেতৃবৃন্দ ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।