

রবিবার ● ২৬ নভেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » ছবিঘর » একতরফা নির্বাচনের তফসিল বাতিল করুন : গণতন্ত্র মঞ্চ
একতরফা নির্বাচনের তফসিল বাতিল করুন : গণতন্ত্র মঞ্চ
আজ ২৬ নভেম্বর, ২০২৩ রবিবার গণতন্ত্র মঞ্চ, বিএনপিসহ যুগপৎ আন্দোলনে থাকা জোট ও দলগুলোর ৬ষ্ঠ দফায় ৪৮ ঘন্টার সর্বাত্মক অবরোধ পালনে দফায় দফায় মিছিল-সমাবেশ করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। পুরানা পল্টন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন কার্যালয়ের সামনে সামনে থেকে মিছিল শুরু করে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে পুরানা পল্টন হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হন মঞ্চের নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ শেষে আবারও মিছিল নিয়ে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের এর সামনে এসে কর্মসূচি শেষ করা হয়।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, গণতন্ত্র মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে একতরফা নির্বাচন আয়োজনের নাটক মঞ্চায়ন করতে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, অগ্নি সন্ত্রাস, ককটেল সন্ত্রাসের মতো ঘৃণ্য পথ অবলম্বন করেছে সরকার। বিগত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে সরকার রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করে লাগাতারভাবে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে যাচ্ছে। তাদের দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে অগ্নি সন্ত্রাস করতেছে। তাদের দলীয় গুন্ডাদের বাড়িতে বোমা বানানোর কারিগর দিয়ে বোমা বানিয়ে সেই বোমা দিয়ে বিরোধী নেতাদের বাড়িতে হামলা করা হচ্ছে। আদালতকে ব্যবহার করে নজিরবিহীনভাবে রাতের বেলায় কোর্ট চালিয়ে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদেরকে ফরমায়েশি রায় দিয়ে সাজা ঘোষণা করেছে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, এখন তারা রাষ্ট্রীয় বাহিনী ব্যবহার করে হুমকি-ধামকি ও নানারকম লোভ-লালসা দিয়ে বিরোধী দলগুলো থেকে নেতাকর্মী ভাগিয়ে নির্বাচনে নেয়ার অপচেষ্টা করতেছে। তাদের পোষা মিডিয়া ব্যবহার করে আন্দোলনের শক্তিগুলোর মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে মিথ্যা সংবাদ ছড়ানো হচ্ছে। কিন্তু এসব করে শেষ রক্ষা হবে না। এইবার তারা কোনভাবেই ২০১৪ বা ২০১৮ সালের মতো বিনাভোটের কিংবা রাতের ভোটের নির্বাচন করতে পারবে না। বিরোধীদের ছোট একটা অংশকে যদি নির্বাচনের লোভ দেখিয়ে পাতানো ফাদে নিতেও পারে আর বাকিদের সবাইকেও যদি জেলে পুরে রাখে তারপরও বাংলাদেশের জনগণ এই অবৈধ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। যারা আজকে লোভে পড়ে নির্বাচনে অংশ নিবে জাতির সামনে বেঈমান, মীরজাফর ও দালাল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের জনগণ ভোটাধিকারের এই আন্দোলন জারি রেখেই এই সরকারের পতন নিশ্চিত করে ঘরে ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন নেতৃবৃন্দ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল -জেএসডির সহ-সভাপতি স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সিরাজ মিয়া, নাগরিক ঐক্যের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাখখারুল ইসলাম নবাব, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রীতম দাশ প্রমুখ।