

শনিবার ● ২৫ মার্চ ২০২৩
প্রথম পাতা » ছবিঘর » স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিশেষ সম্পাদকীয়- শাসকশ্রেণী বিজয়ী জনগণ কে আবার পরাধীন করে ফেলেছে
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিশেষ সম্পাদকীয়- শাসকশ্রেণী বিজয়ী জনগণ কে আবার পরাধীন করে ফেলেছে
বিংশ শতাব্দীর এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ তার স্বাধীনতা অর্জন করলেও বাংলাদেশ এখন মুক্তিযুদ্ধের দিশা ও স্বাধীনতার ঘোষণা থেকে পুরোপুরি বিচ্যুত হয়েছে। গত পাঁচ দশকে এখানকার সরকার ও শাসকশ্রেণী জনগণের অধিকার ও মুক্তির আকাঙ্ক্ষা পদদলিত করে দেশকে আবার পাকিস্তানি ধারায় নিয়ে গেছে।জনগণের বিজয়কে এরা পরাজয়ে পরিনত করেছে। জনগণকে এরা আবার পরাধীন করে ফেলেছে। বর্তমান সরকার এই ব্যাপারে আবার সবাইকে আবার টেক্কা দিয়েছে। নিজেদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চ্যাম্পিয়ন দাবি করে তারা নাগরিকদের ভোটের অধিকার হরন করেছে, নানা কালো আইন দিয়ে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার রুদ্ধ করে চলেছে। সুশাসনের পরিবর্তে দেশে তারা মাফিয়া সন্ত্রাসীদের রাজত্ব কায়েম করেছে। গণতন্ত্র ও সুশাসন তারা একসাথেই বিদায় দিয়েছে। এখন তারা লুটেরাদের জন্য স্বর্গরাজ্য আর দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের জন্য এক ধরনের নরক প্রতিষ্ঠা করেছে। উন্নয়নের কথা বলে এরা এদের সকল দুষ্কর্মকে বৈধতা দেবার চেষ্টা করছে। গোটা রাষ্ট্রকে তারা জনগণের বিরুদ্ধে নিয়ে গেছে। নিজেদের ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন বজায় রাখতে সমগ্র রাষ্ট্রযন্ত্রকে তারা নিপীড়নের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে।রাষ্ট্র মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে শাসকশ্রেণীর পক্ষে নিষ্টুর ও অমানবিক প্রতিষ্ঠানে পর্যবসিত হয়েছে।একারণে এই রাষ্ট্রের সাথে আমজনতার বিচ্ছিন্নতা এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে।
বিদ্যমান রাষ্ট্র ও তার নানা প্রতিষ্ঠান যদি দেশের মানুষের কল্যাণে দাঁড়াতে না পারে তাহলে জনবিচ্ছিন্ন নিপীড়নমূলক এই রাষ্ট্র ও তার অগণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠাণসমূহ বিদায় দেয়া জনগণের দিক থেকে জরুরী কর্তব্য হিসাবে হাজির হয়।
আর যে দখলদার শাসকশ্রেণী, সরকার ও রাজনৈতিক দলসমূহ এই দমনমূলক গোটা ব্যবস্থাকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে তাদেরকে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত করা ব্যতিরেকে জনগণের রাষ্ট্র, সরকার ও সংবিধান - কোন কিছুই যে অর্জন করা যাবেনা তাও স্পষ্ট।
একারণে এখন ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও মুক্তিযুদ্ধের অংগিকারের সাম্যভিত্তিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম এক ও অভিন্ন লড়াই। এ সংগ্রামে বিজয়ী হওয়া ছাড়া আমরা দেশ ও দেশের সম্ভাবনাময় গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎকে কোনভাবেই নিশ্চিত করতে পারবনা।
এই লক্ষ্য অর্জনে দরকার মুক্তিযুদ্ধের মত আর একটি গণজাগরণ, আর একটি মুক্তিযুদ্ধ।বিদ্যমান ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে সেই ধারাতেই গড়ে তোলা প্রয়োজন। এবারকার স্বাধীনতা দিবসে এটাই হোক আমাদের অংগিকার।